যেখানে রাখাল নেই
শীতের মন্ত্রণায়
কটি ভেড়া চড়ছে ভিতর ভিতর
সুলেমানের শূন্যহাতে আঁকা আকাশে
পাড়ি দিয়েছে পাহাড়
প্রাগৈতিহাসিক কৌতূহলে
ফিরে আসার অপরিসরে
পশমের দল ঘর বেঁধেছে উলকাঁটায়
রমণীসুলভ
ভ্যানঘগের মেঘের নিচে
কুয়াশাদের সর্দার ছিল না
শীতের আমলে
অনাস্থা প্রস্তাব
এক ফোঁটা যৌনরস
গর্ভে ঢুকে বেরিয়ে এলো
অভুক্ত উপশম
তুমি বললে, অপুষ্টি নয়।
সুষম অলঙ্কার
স্বল্প জলে ডুবেছিল
প্রকাশ্যে মা সংগীতময়।
তালে তালে দেয়ালা, নাই বা বুঝলে
তোমার বারান্দার নিচে
আশ্রয় নিক একটি অগণতান্ত্রিক রাত
অনাথের মতো
এক নিরাশ্রয় বেড়ালের ভেতর
গোঁঙাতে দেখি খাদ্যহীন তালিকা
মরুপ্রবণতা
চাঁদের বিজ্ঞাপনে ত্রাণহীন শোক
পেয়েছ, মৃত বকের দেহদৃশ্যে
হিমের পীড়ন। তুমি সন্তানসম্ভবা।
অবশ্যম্ভাবী জলভাঙা, জেনে
তোমার বাগানে একটি করে শিশির
রুদ্ধশ্বাসে মরে, প্রতিদিন তার আচ্ছন্নস্বরে
ক্যাকটাস জাগে...মুচকি হাসে ম'দেশ
ষাঁড়াষাঁড়ি বানের মুখ থেকে
ফিরেছিল যারা, জলাতঙ্কে
মরুভূমিকে ভালোবেসেছিল
দাও চন্দ্রহার
চুম্বনের পর যা কিছু অতিরিক্ত
তার পাশে রাখি রিক্ত অনন্ত পরমায়ু
শীতের রাতে রক্ত পেয়েছে সে
আসক্ত নাভির গন্ধে, আরোহী মৃগের
মন্ত্রহীন পরিহারে। ধূমল চরাচর।
ঘুমিয়ে তুমি। নিদ্রাহীন চাঁদের তলোয়ার
ছিঁড়ে দেয় পশুর ফুলদানি। মূর্ছা যায়
ক্ষারের জল।
তাকে ক্ষমা দাও, দাও চন্দ্রহার
ব্যক্তিগত অন্ধকার দাউ হোক
অবশিষ্টে থাক তথাগত-স্বাদ
ঘুঘুর আঁচড়
খুব নষ্ট ভাবে
খুব স্পষ্ট ভাবে
তুমুল আনন্দে
তুমুল পরিপাটি করে
দউ ঘুঘু ব্যস্ত অবান্তর বিনিময়ে
এমন বাপ-মা ঘটে যাওয়া দুপুরে
তোমার ঘর ভাঙে
ভুল পাখির আদরে
কিছু দুর্দান্ত কবিতা পড়লাম। দাও চন্দ্রহার - ক্ল্যাসিক!
ReplyDeleteধন্যবাদ 🙏
Deleteদারুণ,লেখাগুলি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম
ReplyDeleteধন্যবাদ 🙏
Deleteখুব ভালো প্রতিটি কবিতা।
ReplyDeleteধন্যবাদ 🙏
Delete